স্ত্রীকে সর্বদা মনে রাখতে হবে স্বামীই
তার কর্তা। সাংসারিক জীবনে একটু-আধটু ঝগড়া হয়েই থাকে। অধিকাংশ সময় এসব
ঝগড়ার সূচনা হয় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে। এক্ষেত্রে পরস্পর সামান্য ছাড়
দিলেই মিটে যায় অনাকাক্সিক্ষত রাগ-অভিমান। বুদ্ধিমানরা তা-ই করেন। তারপরও
কোনো কারণে স্ত্রীর ওপর স্বামী রেগে গেলে বা ভালোবাসা কমে গেলে স্ত্রীকে যে
আয়াত পড়তে হবে।
আর স্ত্রীর যদি কোনো দোষ থাকে তাহলে ভুল
স্বীকার করে মাফ চেয়ে নেয়া উচিত। অনেকে ভাবতে পারেন আমার তো কোনো দোষ নেই,
আমি তোশামোদ করতে যাব কেন? আসলে এ অবস্থায় স্ত্রী নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও
যদি স্বামীর আনুগত্য প্রকাশ করে তাহলে স্বামীর হুঁশ আসার পর স্ত্রীর প্রতি
ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
যদি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্বামীর রাগ থাকে
তাহলে নিরিবিলি বা একাকি অবস্থায় স্বামীকে প্রকৃত বিষয়টি তুলে ধরবে এবং
নিজের অন্যায় থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা কমে যায়
তাহলে কোরআনের একটি আয়াত পড়ে কোনো মিষ্টান্ন দ্রব্যে ফুঁ দিয়ে স্বামীকে
খাওয়ালে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
আয়তটি হলো : وَمِنَ
النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْدَادًا يُحِبُّونَهُمْ
كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ وَلَوْ يَرَى
الَّذِينَ ظَلَمُوا إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ
جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ
বাংলা উচ্চারণ :
ওয়া মিনান্ না-সি মাইঁ ইয়াত্তাখিযু মিন্দূ-নিল্লা-হি আন্দা-দাইঁ
ইয়ুহিব্বূনাহুম্ কাহুব্বিল্লাহ্; ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ আশাদ্দু
হুব্বাল্লিল্লাহ্; ওয়ালাও ইয়ারাল্লাযীনা জোয়ালামূ ইয্ ইয়ারাওনাল্ ‘আযা-বা
আন্নাল্ কুওওয়াতা লিল্লা-হি জ্বামীআও ওয়া আন্নাল্লা-হা শাদীদুল আযা-ব।
বাংলা অনুবাদ :
আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে
গ্রহণ করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালোবাসার মতো ভালোবাসে। আর যারা ঈমান এনেছে,
তারা আল্লাহর জন্য ভালোবাসায় দৃঢ়তর। আর যদি জালেমগণ দেখে, যখন তারা আজাব
দেখবে যে, নিশ্চয় সকল শক্তি আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আল্লাহ আজাব দানে
কঠোর। [সুরা বাকারা : ১৬৫]।
No comments:
Post a Comment