Wednesday, May 25, 2016

মুর্তি !!! মুর্তি পুজা করা শয়তানের কাজ !!! মুর্খ লোকের কাজ !!!


 মুর্তি !!! মুর্তি পুজা করা শয়তানের কাজ !!! মুর্খ লোকের কাজ !!!
যে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না সে কিভাবে মানুষের উপকার করবে ??
হযরত ইব্রাহীম আ: এর সময় কাবায় রক্ষিত ৩৬০ টি মুর্তির সর্দার বলতে পারেন যে বাকী মুর্তিগুলি কে ভেঙ্গেছে ?? তাহলে তার পুজা কেন ?? কোন পুরুষ কি তার স্ত্রীর সহিত কাউকে শরীক করা পছন্দ করে ? যদি মানুষ হয়ে শরীক করাকে পছন্দ না করে তবে শ্রষ্টা হয়েকি তার সহিত অন্যকে শরীক করাকে পছন্দ করতে পারে ? প্রশ্ন করুন অাপনার বিবেককে ?
সুত্র:
(১)হে মানুষ, তোমরা যারা ঈমান এনেছো (তোমরা জেনে রেখো) মদ, জুয়া , পুজার বেদী ও ভাগ্যনির্নায়ক শর হচ্ছে ঘৃনিত শয়তানের কাজ, অতএব তোমরা তা (সম্পূর্নরুপে) বর্জন করো, আশা করা যায় তোমরা মুক্তি পেয়ে যাবে। (সুরা আল মায়েদা,আয়াত: ৯০)।
(২)মানুষের মধ্যে কিছু মূর্খলোক আছে, যারা না জেনে (না বুঝে) আল্লাহ তায়ালার (শক্তি ক্ষমতা ) সম্পর্কে তর্ক বিতর্ক করে এবং (সে ) প্রতিটি বিদ্রোহী শয়তানের আনুগত্য করে। (সুরা আল হাজ্জ্ , আয়াত: ৩)।
(ক)হযরত ইব্রাহীম আ: এর কৈশর বয়সে তার পিতা মুর্তি পুজারক ছিল। একদা তার বাবা তাকে বললো আজকে আমার শরীর অসুস্থ তুমি গিয়ে মুর্তিগুলি মীনা বাজারে গিয়ে বিক্রি করে আস। বাবা তাকে মুর্তির গুনাগুন বলে দিলো। এই মুুর্তি এই কাজ করে , ঐটি ঐ কাজ করে। পিতার কথামত ইব্রাহীম আ: মুর্তি গুলির গলায় রশি বেধে টানতে টানতে বাজারের দিকে রওয়ানা হলেন। পথিমধ্যে তার জরুরতের কারনে মুর্তিগুলি রাস্তার পাশ্র্বে রেখে জরুরত সারলো। ইতিমধ্যে দেখতে পেল একটি কুকুর এসে মুর্তিগুলির গায়ে প্রশাব করে দিল । কিন্ত মুর্তিগুলি উহার কোন প্রতিউত্তর করতে পারলো না বা প্রতিশোধ নিতে পারলো না। দেখে হযরত ইব্রাহীম আ: মনে শংসয় জাগলো। বাবা মুর্তির এত গুনাগুন বলে দিলো। অথচ মুর্তিগুলি একটি কুকুরের প্রশ্রাবের অপমান ঠেকাতে পারলো না। তাহলে সে অপরের কি উপকার করবে ? বাজারে মুর্তিগুলো নিয়ে বলতে লাগলেন , এই মুর্তিগুলো কেউ কি কিনবেন ? যে কুকুরের প্রশ্রাব থেকে নিজেকে হেফাজত করতে পারে না। যাক রশি লাগিয়ে টেনে আনতে হয়। যে চলতে পারেনা। কথা বলতে পারে না। আবার যারা মুর্তিগুলো তৈরী করে তারাই পা দিয়ে অপমান করে পানিতে চুবিয়ে মারে। তার এই কেনবাচ শুনে কেউই একটি মুর্তিও ক্রয় করলো না। সব মুর্তিগুলি নিজ গৃহে ফেরত নিয়ে আসলো। বাবাকে বললো বাবা তুমি মুর্তির যে গুনাবলী বলেছো তাতো একটিও এর মধ্যে নেই। বরং একটি কুকুর মুত্যির গায়ে প্রশ্রাব করলো । উহাও সে নিজে ঠেকাতে পারলো না। তাহলে এই মুর্তি কিভাবে অন্যের উপকার করবে ? আমার জ্ঞানে ধরে না। লোকজনও মুর্তির উক্ত ঘটনা শুনে কেউ মুর্তি কিনলো না। এই হলো মুর্তির গুনাবলী যা নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে তৈরী করে আবার পানিতে বিসর্জন দিতে হবে। তাও পুজারীগন নিজেরাই। কত মূর্খতা এখনো মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ? যাকে পুজা করে তাকেকি এভাবে বিসর্জন দিতে পারে ? এটা কি কোন জ্ঞানবান মানুষের কাজ হতে পারে ? নিজের বিবেককে প্রশ্ন করলেইতো ইহার জবাব মিলে যায় ।
(খ) কাবার মধ্যে ৩৬০ টি মুর্তি। কাফেররা কাবায় ঢুকে দেখে যে সমস্ত মুুর্তিগুলো হাত পা ভেঙ্গে পড়ে আছে। বড় মুর্তিটির গলায় কুড়ার ঝুলানো। তাদের সন্দেহ হলো । বললো যে, একাজ নিশ্চয়ই ইব্রাহীম আ: করেছে। হযরত ইব্রাহীম আ: কে ডেকে কাবায় আনা হলো। কাফেররা তাকে জিজ্ঞেস করলো। আমাদের এই মুর্তিগুলো কে ভেঙ্গেছে ? জবাবে হযরত ইব্রাহীম আ: বললেন, কেন তোমরা মুর্তির সর্দারের কাছে জিজ্ঞেস করেইতো জানতে পারো যে বাকী মুর্তিগুলো কে ভেঙ্গেছে ? তাছাড়া আমার মনে হয় মুর্তি গুলোর সর্দারই বাকী মুর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে সে একাই তোমাদের দেয়া সব ভোগ খাবার জন্য। কাফেররা জবাবে বললো বোকার মত কথা বলছো কেন । মুর্তি কি কোন কথা বলতে পারে ? মুর্তি কি কোন কিছু খেতে পারে ? মুর্তি কি চলতে পারে? মুর্তিকি কুড়াল ধরতে পারে ? সে কিভাবে অন্য মুর্তিগুলোকে ভেঙ্গে ফেলবে ? তখন হযরত ইব্রাহীম আ: তাদেরকে লক্ষ করে বললো যে, তোমরাইতো এই মুর্তির এত গুনগান বলো, পুজা কর, । এখন তোমাদের মুখ দিয়েইতো বেড় হলো যে, এই মুর্তিগুলো কিছুই করতে পারে না । তাহলো বোকা কে আমি না তোমরা ? নিজেদেরকে প্রশ্ন করো যে, যে মুর্তি কোন কিছুই করতে পারে না তবে কেন তোমরা বোকার ন্যায় পুজা করছো ? কাফেররা সব লাজওয়াব ও বোকার মত ফেলফেলিয়ে হযরত ইব্রাহীম আ: এর জ্ঞানবান প্রশ্নের দিতে বোকা সেজে গেল। আসলে আল্লাহ পাক মানুষকে এত জ্ঞান দিয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ্য জাতি হিসাবে সৃষ্টি করেছেন তার জ্ঞান দিয়ে এক শ্রষ্টাতে চিনবে। বোকার ন্যায় মুর্তি পুজার মত চরম শেরেক কাজকে ছেড়ে এক আল্লাহ পাকের উপাসনা করবে। তখনই মানুষের শ্রেষ্ঠ্যত্বের প্রমান মিলবে।
(গ) তাই আসুন বোকা নয়, কালেমা তাইয়্যেবা পড়ে এক আল্লাহকে স্বীকার করে তার উপাসনা করে সর্বশ্রেষ্ঠ্য মানুষ হই। আল্লাহ পাক সকল মানুষকে মুর্তি পুজা বর্জন করে এক আল্লাহ পাককে চিনার শক্তি দান করুন।আমীন।

No comments:

Post a Comment