Thursday, May 26, 2016

ঈমান কি ? ঈমান কিভাবে বৃদ্ধি পাবে ? ঈমান কোথায় পাওয়া যাবে ?


ঈমান কি ?
ঈমান কিভাবে বৃদ্ধি পাবে ?
ঈমান কোথায় পাওয়া যাবে ?
বর্ননাগুলি সংক্ষেপ করা হলো। বিস্তারিত এখানে আলোচনা কষ্টকর।
ক) ঈমান এক আল্লাহ ও অদৃশ্য 7 টি বিষয়ের উপর পূর্ন বিশ্বাস স্থাপন ও উহার উপর বাস্তব আমল করার নাম ঈমান।
খ)ঈমান হলো মুখে ঐ 7টি বিষয়ের উপর আন্তরীক বিশ্বাস স্থাপন করা, মুখে প্রকাশ করা এবং বাস্তবে আমল করার নাম ঈমান।
গ) অদৃশ্ব্র্য 7টি বিষয় হলো: (1) আমানতু বিল্লাহি (2) ওয়া মালাইকাতিহি (3) ওয়া কুতুবিহি (4) ওয়া রাসুলিহি (5) ওয়াল ইয়াও মিল আখেরে (6) ওয়াল কাদরী খাইরিহি শাররীহি মিনাল্লাহি তায়ালা (7) ওয়াল বাছে বাদাল মওত।
(ঘ) ঈমান বৃদ্ধি করার উপায় হলো বেশী বেশী কালেমা (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ) এর উপর বিস্তারীত আলোচনা করা।
” কালেমার অন্তর্নিহিত অর্থ হলো: আমরা দুই চোখে যা কিছু দেখী বা না দেখী আল্লাহ ব্যতীত সমস্ত কিছুই মাখলুক। মাখলুক কিছুই করতে পারেনা আল্লাহ পাকের সাহায্য ব্যতীত এবং আল্লাহ পাক সমস্ত কিছুই করতে পারেন কোন কিছুর সাহায্য ব্যতীত। ”
স্বাধারন একটি উদাহরন:— প্রত্যেকের ঘরে ছোট বাচ্চা, কৈশর, যুবক, বৃদ্ধ সকলেই বসবাস করেন। ঘরে যে খাবার পাকানো হয় সেই একই পাতিলে পাকানো খাবার ঘরের বাচ্চা, কৈশর,যূবক ও বৃদ্ধ সকলেই খাইতেছে। কিন্ত ফলাফল কি দ্বারায় ? বাচ্চারা,কৈশর ও যুবক ঐ একই পাতিলের খাবার খেয়ে ক্রমা্ন্বয়ে বড় ও শক্তিশালী হইতেছে কিন্ত আপনার ঘরের বৃদ্ধ পিতা, মাতা বা দাদা , দাদী কি আরও শক্তিশালী হচ্ছেন বা আরও বড় হচ্ছেন ? নিশ্চয়ই বলবেন না। বরং তারা ঐ একই খাবার খেয়ে দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়ছেন। ভাতের যদি শক্তি থাকতো তাহলে ঘরের সকলকেই শক্তিশালী করা কথা কিন্ত হা হচ্চে না। তার মানে কি?? ভাতের কোন শক্তি নেই কাউকে শক্তিশালী বা বড় করা। আল্লাহপাকের হুকুমে ভাত এক একজনের ভিতরে পৃথক পৃথক ভাবে ক্রিয়া করছে। এটাই কালেমার দাবী। মাখলুক কিছুই করতে পারে না আল্লাহ পাকের হুকুম ব্যতীত। তেমনি পবিত্র কোরআনের বর্ননা অনুযায়ী ছুড়ি ইসমাইল আ: কে কাটার শক্তি রাখেনি , আগুন ইব্রাহীম আ: কে পোড়ানোর কোন ক্ষমতা রাখেনি, মাছ ইউনুস আ: কে হজম করতে পারেনি। পবিত্র কোরআনে মানুষকে ঈমান শিখানোর জন্যই আল্লাহ পাক এসমস্ত ব্যতিক্রম ঘটনাসমূহ ঘটিয়েছেন । মানুষকে ঈমান শিখানোর জন্যই আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনের অথিকাংশ আয়াত নাযীল করেছেন। আহকাম সম্পর্কীত আয়াত মাত্র 500-600 মাত্র। সুতরাং বিষয়টি আমাদের আন্তরীকভাবে অনুধানের প্রয়োজন।
(ঙ) গাড়ী নষ্ট হলে ওয়ার্কশপে নিতে হয় মেরামতের জন্য, জাহাজ নষ্ট হলে ডকইয়ার্ডে নিতে হয়, মানুষের শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে নিতে হয় হাসপাতালে। কিন্ত মানুষের যখন দ্ভীল বা ঈমান নষ্ট হয়ে যায় তখন উহা মেরামতের জন্য নিতে হবে মসজিদি পরিবেশে,ওলামাগনের সোহবতে। মসজিদই হচ্ছে ঈমান তৈরীর কারখানা।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সহজে ঈমান বুঝার,ও আমল করার তৌফিক দান করুন ।আমীন।

No comments:

Post a Comment