Wednesday, May 25, 2016

ভেজাল কোথায় ??? মালে না মানুষে ????? ভেজালের অপকারীতা কি ??? উহা থেকে পরিত্রানের উপায়ই বা কি ??

ভেজাল কোথায় ??? মালে না মানুষে ????? ভেজালের অপকারীতা কি ??? উহা থেকে পরিত্রানের উপায়ই বা কি ???
আমরা বলে থাকি সরিষার তেলে ভেজাল, দুধে ভেজাল, মধুতে ভেজাল, ফলে ভেজাল , তরকারীতে ভেজাল. ঔষধে ভেজাল, সবকিছুতেই ভেজাল। প্রকৃত পক্ষে ভেজাল কি মালে না মানুষে ????
জবাব !!!
আল্লাহ পাকের সৃষ্টিতে কোন ভেজাল নেই। সরিষার তৈল এখনও খাট আছে।,গাভীর দুধ এখনও খাটি আছে, তরকারী এখনও খাটি আছে। সরিষার তৈলকে কি অাপনি এপর্যন্ত অনুরোধ করতে শুনেছেন যে, আমাকে সয়াবীনের সহিত মিশ্রিত কর ?ভেজাল শুধু মানুষের মধ্যেই। মানুষই দূর্বল ঈমানের কারনে সামান্য ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সরিষার তৈলের সহিত সয়াবীন মিশ্রিত করে বিক্রি করে মানুষেরই ক্ষতি করছে। সে এতটুকু ভাবে না যে, আমার এই সামান্য লাভের কারনে গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ? এমনকি ঔষধেও ভেজাল দিয়ে গোটা মানব জাতীকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। কারন তার পরকালের ভয় অন্তরে নেই। পরকালে হিসাব দেয়ার ভয় অন্তরে নেই। পরকালের শাস্তির ভয় অন্তরে নেই। আল্লাহ পাকের ভয় অন্তরে নেই।
ভেজালের পরিনতি কি দাড়ায় দেখূন
(১) পৃথিবীতে আল্লাহ পাক মোট সাতটি রং দিয়েছেন। এখন আপনি যদি হলুদ রংয়ের সহিত লাল রং মিশ্রিত করেন তবে হলুদ বা লাল রং কোনটিই থাকবে না । সে অন্য রং ধারন করবে। তাই মূল হলুদ বা লাল রং দিয়ে যে কাজ হতো মিশ্রেত করার কারনে সেই কাজ করা সম্ভব হবেনা। কারন উহাদের মূলকে হারিয়েছে। এমনি ভাবে যে কোন কিছুতেই বেজাল দিলে উহার আসল কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে উহার উপকারীতা হতে বঞ্চিত হতে হয়।
ভেজালের অপকারীতা !!!!
আল্লাহ পাক প্রতিটি জিনিসের মধ্যে মানুষের জন্য বিভিন্ন রকমের উপকারের উপকরন দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। উহার মধ্যে ভেজাল দিলে মালের প্রকৃত গুনাবলী হারিয়ে ফেলে । ফলে উহা মানুষের উপকারের স্থলে ক্ষতির সৃষ্টি করে। তাই আস্তে অাস্তে মানুষের অায়ূ কমে যাচ্ছে, মানুষের শরীরের থেকে রোগ প্রতিরোধক শক্তি কমে যাচ্ছে। মানুষ ক্রমে ক্রমে রোগাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। ক্ষীন স্বাস্থের হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
ভেজাল থেকে পরিত্রানের উপায় :::
তাই ভেজালমুক্ত দেশ গড়তে হলে প্রথমে মানুষকে ঈমানদার করে গড়ে তুলতে হবে। আইন দিয়ে এপর্যন্ত মানুষকে কেউ ভাল করতে পারে না্ই। কেয়ামত পর্যন্ত পারবেও না। রাসুল সা: তাই মানুষের দীলের উপর ঈমানের মেহনত করে ঈমানদার করে গড়ে তুলেছিলেন। তাই সাহাবা গনের দ্বারা এহেন অপরাধের কাজ সংগঠিত হয়নি। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে প্রকৃত ঈমানদার হয়ে এহেন মানবক্ষতিকারক জগন্য কাজকে পরিহার করে মানবকল্যানমুলক কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

No comments:

Post a Comment